পরিবেশ বিপর্যয় --বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা থেকে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দূরত্ব অনেক। কিন্তু
মিল আছে এক জায়গায়। ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আঘাত
করেছিল। এর পেছনে কারণ ছিল একটিই- পরিবেশ বদলে যাচ্ছে। বিশ্বের উষ্ণতা
বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড় আর টর্নেডোর মতো ঘটনা। ঘূর্ণিঝড়
‘মহাসেন’-এর আঘাতের পর পরই ওকলাহোমায় মারাত্মক টর্নেডো লণ্ডভণ্ড করে দেয়
সেখানকার জনপদ। ২১ মে’র ওই ঘটনায় ওকলাহোমায় মারা গিয়েছিলেন ৯১ জন মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি একটি বড় ধরনের ঘটনা। ওকলাহোমার মুর শহরযেন এখন
এক ধ্বংসের নগরী। প্রেসিডেন্ট ওবামা ওই শহরকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে
ঘোষণা করেছিলেন। ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা ওই টর্নেডোর ব্যাস ছিল
তিন দশমিক ২ কিলোমিটার। সে তুলনায় অনেক দুর্বল ছিল ‘মহাসেন’। যথেষ্ট
প্রস্তুতি থাকায় ক্ষয়ক্ষতি তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড় আর টর্নেডো এখন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি বড় বড় শহরগুলোও আক্রান্ত হচ্ছে। সারাবিশ্বই আজ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস, বিশেষ করে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। ফলশ্রুতিতে সাগর, মহাসাগরে জন্ম হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের, যা এক সময়প্রবল বেগে আছড়ে পড়ছে উপকূলে। ধ্বংস করে দিচ্ছে জনপদ। ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উপকূলবর্তী গ্রাম, ছোট ছোটশহর। ‘মহাসেন’ ছিল সেরকম একটি ঘূর্ণিঝড়। এর আগে আমরা ‘সিডর’ও ‘আইলার’ সঙ্গে পরিচিত ছিলাম।মজার ব্যাপার হচ্ছে, সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গুলোর নাম আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। ইংরেজি বর্ণমালার ক্রম অনুসারে ব্যাকরণের সুযোগ পায় ভারত ‘উপমহাসাগরভুক্ত’৮টি দেশ। প্রতিটি দেশকে ৪টি করে নাম পাঠাতে হয়। এর মধ্য থেকে একটি নাম বেছে নেয়া হয়। এক সময়ের শ্রীলংকার রাজা মহাসেন ধ্বংস করেছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বহু মন্দির। সে কারণে ধ্বংসাত্মক ঝড়ের নাম রাখা হয়েছিল ধ্বংসের প্রতীক সেই রাজা মহাসেনের নামে। এদিকে এ অঞ্চলে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হবে থাইল্যান্ডের দেয়া নামে। নাম হবে ‘ফাইলিন’। মহাসেনের পর এখন ফাইলিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা।
এই ঘূর্ণিঝড় আর টর্নেডো এখন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি বড় বড় শহরগুলোও আক্রান্ত হচ্ছে। সারাবিশ্বই আজ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। বায়ুমন্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস, বিশেষ করে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। ফলশ্রুতিতে সাগর, মহাসাগরে জন্ম হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের, যা এক সময়প্রবল বেগে আছড়ে পড়ছে উপকূলে। ধ্বংস করে দিচ্ছে জনপদ। ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে উপকূলবর্তী গ্রাম, ছোট ছোটশহর। ‘মহাসেন’ ছিল সেরকম একটি ঘূর্ণিঝড়। এর আগে আমরা ‘সিডর’ও ‘আইলার’ সঙ্গে পরিচিত ছিলাম।মজার ব্যাপার হচ্ছে, সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গুলোর নাম আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। ইংরেজি বর্ণমালার ক্রম অনুসারে ব্যাকরণের সুযোগ পায় ভারত ‘উপমহাসাগরভুক্ত’৮টি দেশ। প্রতিটি দেশকে ৪টি করে নাম পাঠাতে হয়। এর মধ্য থেকে একটি নাম বেছে নেয়া হয়। এক সময়ের শ্রীলংকার রাজা মহাসেন ধ্বংস করেছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বহু মন্দির। সে কারণে ধ্বংসাত্মক ঝড়ের নাম রাখা হয়েছিল ধ্বংসের প্রতীক সেই রাজা মহাসেনের নামে। এদিকে এ অঞ্চলে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হবে থাইল্যান্ডের দেয়া নামে। নাম হবে ‘ফাইলিন’। মহাসেনের পর এখন ফাইলিনের জন্য আমাদের অপেক্ষা।
Comments
Post a Comment